বড়লেখায় প্রেমিকাকে (২১) দল বেধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ প্রেমিকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে- প্রেমিক ওই তরুণীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ করেছে।

গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের একটি চা বাগানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের এক তরুণীর সাথে মাহমুদুল হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক মাহমুদুল হাসান বেড়ানোর কথা বলে তাকে অহিদাবাদ চা বাগানে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে গোপনে সে তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে রেখে দেয়। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক সবাই মিলে তরুণীকে দল বেধেধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অভিযুক্তরা ধর্ষণের শিকার তরুণীকে তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়। পরে ওই তরুণীকে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম (২৫), একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে আল আমিন (২৩), উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ডালিম উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০), পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের ফইয়াজ আলীর ছেলে রমিজ উদ্দিন (২৮) ও নাফিতখাই গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে সানোয়ার আহমদ (২২)।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ডালিম উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) ও কুদরত আলীর ছেলে আল আমিনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নব গোপাল দাশ তাদের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। ওই দিন বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বড়লেখার শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নব গোপাল দাশ বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের করা মামলার পরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান ও তার বন্ধু আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শনিবার আদালতে মাহমুদুল হাসান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’